সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
বরিশাল জেলার গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া ও ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল দেয়াসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি পুনর্নির্বাচনের দাবি করেছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ২ টার দিকে গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় বিএনপি প্রার্থী বলেন, সকাল ৮ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এরপর ঘণ্টা দেড়েক ভোটের পরিবেশ কিছুটা ভালো ছিল। সকাল সাড়ে ৯ টার পর আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা ভোট কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেন। এরপর কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এরপর একে একে গৌরনদী পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের সবগুলো দখল করে নেন তারা। তারা বুথের ভেতরে অবস্থান নিয়ে ভোটারদের নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করেন। এ কারণে ভোটররা তাদের পছন্দের মেয়র প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি।
জহির সাজ্জাদ হান্নান অভিযোগ করেন, বেলা সাড়ে ১১ টার থেকে ৫ নম্বর কেন্দ্রে ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে দেখে প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। একইভাবে বেলা ১২ টার দিকে ৬ নম্বর কেন্দ্রে সিল মারতে দেখে প্রতিবাদ করেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন।
বিএনপি মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান বলেন, তাকে লাঞ্ছিত সহ কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকতা ও গৌরনদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ৭টি লিখিত অভিযোগ দেন। তবে তারা কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় ভোট ডাকাতির এ নির্বাচন বর্জন ছাড়া আর কোনো পথ ছিল না।
পৌরসভা নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম বলেন, তিনি সকাল থেকে গৌরনদী পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেছেন। কোনো অনিয়ম তার চোখে পড়েনি। গৌরনদীতে বিএনপি প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান একটি কেন্দ্র থেকে তার পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগ পেয়ে ওই কেন্দ্রে গিয়ে বিএনপি প্রার্থীকে সেখানে আসতে বলেছিলেন। তবে বিএনপি প্রার্থী সেখানে আসেননি এবং এরপর আর কোনো অভিযোগও দেননি। মেহেন্দিগঞ্জেও খবর নিয়ে জেনেছেন, সেখানেও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে।